লাবনী পয়েন্ট কক্সবাজারের সবচেয়ে ব্যস্ততম এবং জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত পয়েন্ট।
কক্সবাজার শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে কয়েক মিনিটের হাঁটার দূরত্বে অবস্থিত হওয়ায় এটি সহজেই অ্যাক্সেসযোগ্য এবং পর্যটকদের প্রথম গন্তব্য হওয়ায় এখানে হোটেলের চাহিদা অত্যন্ত বেশি। ।
এই পয়েন্টে সাগরের ঢেউ, ঝিনুক মার্কেট এবং অসংখ্য ছোট-বড় দোকান পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
যারা লাবনী পয়েন্টে থেকে সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান, তাদের জন্য এখানে বিভিন্ন মানের হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে।
নিচে লাবনী পয়েন্টের কাছাকাছি কিছু জনপ্রিয় হোটেলের তালিকা, ভাড়া এবং অন্যান্য তথ্য দেওয়া হলো।
- ১. হোটেল কল্লোল
- ২. হোটেল মিডিয়া ইন্টারন্যাশনাল
- ৩. আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট রেস্ট হাউস জলতরঙ্গ
- ৪. হোটেল সী ওয়ার্ল্ড
- ৫. সীগাল হোটেল
- ৬. লং বিচ হোটেল
- ৭. মেরমেইড বে ওয়াচ রিসোর্ট
- ৮. দ্য সি প্রিন্সেস হোটেল
- ৯. হোটেল স্বপ্নীল সিন্ধু
- ১০. হোটেল নীলিমা
- ১১. হোটেল লাবনী
- কেন লাবনী পয়েন্টে থাকা সুবিধাজনক?
- যাতায়াত ব্যবস্থা:
- খাবার ব্যবস্থা:
- দরকারি টিপস
১. হোটেল কল্লোল
- অবস্থান: লাবনী পয়েন্টের খুব কাছেই, সমুদ্র সৈকতের দৃশ্যমান জায়গায়।
- বৈশিষ্ট্য: সি-ভিউ রুম, সুইমিং পুল, রেস্টুরেন্ট।
- রুম ভাড়া:
- ডিলাক্স রুম: ৪,০০০-৬,০০০ টাকা।
- সুইট রুম: ৮,০০০-১২,০০০ টাকা।
- বিশেষ সুবিধা: ফ্রি ব্রেকফাস্ট, ওয়াই-ফাই, পার্কিং সুবিধা।
২. হোটেল মিডিয়া ইন্টারন্যাশনাল
অবস্থান: লাবনী পয়েন্ট থেকে ৫ মিনিটের পথ।
- বৈশিষ্ট্য: আধুনিক সুযোগ-সুবিধা, কনফারেন্স রুম।
- রুম ভাড়া:
- স্ট্যান্ডার্ড রুম: ২,৫০০-৩,৫০০ টাকা।
- ডাবল রুম: ৪,০০০-৫,০০০ টাকা।
- বিশেষ সুবিধা: এয়ার কন্ডিশন, রুম সার্ভিস, নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৩. আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট রেস্ট হাউস জলতরঙ্গ
- অবস্থান: লাবনী পয়েন্টের খুব কাছে।
- বৈশিষ্ট্য: বাহিনী পরিচালিত, নিরিবিলি পরিবেশ।
- রুম ভাড়া: ৩,০০০-৪,৫০০ টাকা।
- বিশেষ সুবিধা: সাশ্রয়ী ভাড়া, পরিচ্ছন্ন রুম।
৪. হোটেল সী ওয়ার্ল্ড
- অবস্থান: লাবনী পয়েন্ট থেকে ১০ মিনিটের হাঁটা পথ।
- বৈশিষ্ট্য: সুইমিং পুল, জিম, রেস্টুরেন্ট।
- রুম ভাড়া: ৫,০০০-৮,০০০ টাকা।
- বিশেষ সুবিধা: সি-ভিউ রুম, স্পা সেবা।
৫. সীগাল হোটেল
- অবস্থান: সমুদ্রের কোল ঘেঁষে।
- বৈশিষ্ট্য: ৫ তারকা সুবিধা, বিলাসবহুল কক্ষ।
- রুম ভাড়া: ৮,০০০-১৫,০০০ টাকা।
- বিশেষ সুবিধা: ইনফিনিটি পুল, কনফারেন্স হল, ফিটনেস সেন্টার।
৬. লং বিচ হোটেল
- অবস্থান: লাবনী বিচ থেকে ১০ মিনিটের হাঁটা।
- বৈশিষ্ট্য: বিলাসবহুল সুবিধা, আধুনিক রুম।
- রুম ভাড়া: ৭,০০০-১৩,০০০ টাকা।
- বিশেষ সুবিধা: ইনফিনিটি পুল, স্পা সেবা।
৭. মেরমেইড বে ওয়াচ রিসোর্ট
- অবস্থান: লাবনী পয়েন্ট থেকে ১৫ মিনিটের দূরত্ব।
- বৈশিষ্ট্য: প্রাকৃতিক দৃশ্য, কটেজ সুবিধা।
- রুম ভাড়া: ৬,০০০-১০,০০০ টাকা।
- বিশেষ সুবিধা: প্রাইভেট বিচ, রিসোর্ট সুবিধা।
৮. দ্য সি প্রিন্সেস হোটেল
- অবস্থান: লাবনী বিচের খুব কাছে।
- বৈশিষ্ট্য: আধুনিক রুম, ফ্যামিলি প্যাকেজ।
- রুম ভাড়া: ৫,০০০-৯,০০০ টাকা।
- বিশেষ সুবিধা: কনফারেন্স রুম, রুফটপ ডাইনিং।
৯. হোটেল স্বপ্নীল সিন্ধু
- অবস্থান: লাবনী বিচ থেকে হাঁটা দূরত্বে।
- বৈশিষ্ট্য: পারিবারিক কক্ষ, রেস্টুরেন্ট।
- রুম ভাড়া: ২,৫০০-৪,৫০০ টাকা।
- বিশেষ সুবিধা: সাশ্রয়ী মূল্যে সমুদ্র দর্শন।
১০. হোটেল নীলিমা
- অবস্থান: লাবনী পয়েন্টের নিকটে।
- বৈশিষ্ট্য: ছোট পরিবারের জন্য আদর্শ।
- রুম ভাড়া: ২,০০০-৩,৫০০ টাকা।
১১. হোটেল লাবনী
- অবস্থান: লাবনী পয়েন্টের নিকটে।
- বৈশিষ্ট্য: ছোট পরিবারের জন্য আদর্শ।
- রুম ভাড়া: ২,০০০-৩,৫০০ টাকা।
- বিশেষ সুবিধা: সাশ্রয়ী ভাড়া, পরিচ্ছন্ন রুম।
কেন লাবনী পয়েন্টে থাকা সুবিধাজনক?
লাবনী পয়েন্টে থাকার মূল সুবিধা হলো সমুদ্র সৈকতের কাছাকাছি অবস্থান। এখান থেকে সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দ শুনতে শুনতে ঘুমানো এবং সকালে সূর্যোদয় দেখা সম্ভব। এছাড়া, লাবনী পয়েন্ট থেকে পর্যটকদের অন্যান্য জনপ্রিয় স্থানে যাতায়াতও সহজ।
যাতায়াত ব্যবস্থা:
ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং দেশের অন্যান্য স্থান থেকে কক্সবাজারগামী বাস, ট্রেন এবং বিমান সেবা সহজলভ্য। লাবনী পয়েন্টে পৌঁছানোর জন্য শহরের যেকোনো স্থান থেকে রিকশা বা সিএনজি পাওয়া যায়।
খাবার ব্যবস্থা:
লাবনী পয়েন্টের আশেপাশে অনেক রেস্টুরেন্ট রয়েছে যেখানে সামুদ্রিক খাবার, দেশি এবং বিদেশি বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যায়।
দরকারি টিপস
- সিজনের বিবেচনা: শীতকালে এবং ছুটির দিনে রুম ভাড়া বেশি থাকে।
- কাস্টমাইজড প্যাকেজ: অনেক হোটেল ট্যুর প্যাকেজসহ ছাড় দেয়, খোঁজ নিন।
- বুকিংয়ের আগে যাচাই: ফেসবুক গ্রুপ ও রিভিউ দেখে হোটেল বুকিং দিন।
- রুমের সুবিধা: বাচ্চাদের সঙ্গে থাকলে ফ্যামিলি রুম নিন।
- অফারের সুযোগ: বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অফার দেখতে পারেন।
লাবনী পয়েন্টের আশেপাশে থাকা সুবিধাজনক এবং মনোরম। বিভিন্ন মানের হোটেল থাকার কারণে পর্যটকরা সহজেই বাজেট অনুযায়ী রুম বেছে নিতে পারেন। কক্সবাজারে ভ্রমণকালে সুন্দর অভিজ্ঞতার জন্য আগে থেকে হোটেল বুকিং করে নেওয়া উত্তম।