প্রতিদিন হাজারো পর্যটক কক্সবাজারে ভিড় জমান সমুদ্রের ঢেউ, সোনালি বালুকাবেলা এবং সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে। এমন অসাধারণ ভ্রমণ অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে চাইলে থাকার জন্য আরামদায়ক ও সাশ্রয়ী জায়গা হলো হোটেল লাবনী কক্সবাজার।
হোটেল লাবনীর অবস্থান ও যোগাযোগ ব্যবস্থা
কক্সবাজার শহরের প্রাণকেন্দ্র লাবনী পয়েন্টে অবস্থিত হোটেল লাবনী। সমুদ্র সৈকতের ঠিক পাশে থাকা এই হোটেলটি শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে কয়েক মিনিটের হাঁটা পথ। তাই সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিবারই হোটেল থেকে বের হতে হয় না, বারান্দা থেকেই সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জন আর ঢেউ আছড়ে পড়ার দৃশ্য দেখা যায়।
ঠিকানা: হোটেল লাবনী, লাবনী পয়েন্ট, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, কক্সবাজার।
যোগাযোগ: +৮৮০১৭XXXXXXXX
ইমেইল: info@labonihotelcox.com
কিভাবে পৌঁছাবেন?
- বাসে: ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী এসি/নন-এসি বাসে সরাসরি কলাতলী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছানো যায়। সেখান থেকে রিকশা বা সিএনজি দিয়ে হোটেলে যাওয়া যায়।
- বিমানে: ঢাকা থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দর পর্যন্ত সরাসরি ফ্লাইট আছে। বিমানবন্দর থেকে মাত্র ২০ মিনিটের ট্যাক্সি যাত্রায় হোটেল লাবনীতে পৌঁছানো যায়।
- ট্রেনে: চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনে এসে অটোরিকশায় সহজেই পৌঁছানো যায়।
হোটেল লাবনীর আরামদায়ক ব্যবস্থা
কক্ষের ধরন ও সুবিধা:
হোটেল লাবনী বিভিন্ন ধরনের কক্ষের অফার দেয়, যা ভ্রমণকারীদের প্রয়োজন ও বাজেট অনুযায়ী সাজানো। প্রতিটি কক্ষের অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা অত্যন্ত মনোরম এবং আরামদায়ক।
কক্ষের ধরন | বর্ণনা | ভাড়া (প্রতি রাত) |
---|---|---|
স্ট্যান্ডার্ড রুম | এসি, ডাবল বেড, টিভি, ওয়াই-ফাই | ২,৫০০ – ৩,৫০০ টাকা |
ডিলাক্স রুম | কিং সাইজ বেড, সি-ভিউ, মিনি ফ্রিজ | ৪,০০০ – ৫,০০০ টাকা |
সুপার ডিলাক্স | প্রাইভেট বারান্দা, কফি মেকার, স্ন্যাক বার | ৫,৫০০ – ৭,০০০ টাকা |
স্যুট রুম | আলাদা লিভিং স্পেস, বিলাসবহুল আসবাব | ৮,০০০ – ১০,০০০ টাকা |
কক্ষের বিশেষত্ব:
- প্রতিটি কক্ষ থেকেই সমুদ্রের দৃশ্য উপভোগ করা যায়।
- আধুনিক বাথরুমে রয়েছে গরম পানির ব্যবস্থা।
- এসি, ফ্ল্যাট স্ক্রিন টিভি, মিনি ফ্রিজ, ওয়াই-ফাই এবং ব্যক্তিগত সেফটি লকার।
- হাউসকিপিং সার্ভিস: প্রতিদিন কক্ষ পরিষ্কার এবং তোয়ালে পরিবর্তন।
খাবার ও ডাইনিং সুবিধা
রেস্টুরেন্ট:
হোটেল লাবনীর নিজস্ব রেস্টুরেন্টে দেশি, চাইনিজ এবং কন্টিনেন্টাল খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। বিশেষ করে সামুদ্রিক খাবারের জন্য এটি বিখ্যাত।
- প্রাতঃরাশ: ফ্রি (বাফে ব্রেকফাস্ট)
- দুপুরের খাবার: স্পেশাল সি-ফুড থালি, বারবিকিউ প্লাটার
- রাতের খাবার: চিংড়ি মালাইকারি, গ্রিলড ফিশ, চাইনিজ কম্বো
ক্যাফে:
হোটেলের রুফটপ ক্যাফেতে কফি, স্ন্যাকস এবং ডেজার্ট পাওয়া যায়। সমুদ্রের হাওয়া উপভোগ করতে করতে কফির কাপে চুমুক দেওয়া সত্যিই অসাধারণ।
আন্তরিক সেবা ও সুযোগ-সুবিধা
প্রয়োজনীয় সেবা
- ২৪ ঘণ্টা রিসেপশন ও রুম সার্ভিস
- লন্ড্রি সার্ভিস
- সুরক্ষিত পার্কিং
- ট্যুর গাইড ও গাড়ি ভাড়া ব্যবস্থা
- ডাক্তার অন কল
- এয়ারপোর্ট পিকআপ ও ড্রপ
বিনোদন ও অবসর
- সুইমিং পুল: শীতল পানিতে ডুব দিয়ে আরাম করার সুযোগ।
- স্পা ও ওয়েলনেস সেন্টার: আরাম ও রিলাক্সেশনের জন্য বিভিন্ন ধরনের ম্যাসাজ।
- রুফটপ গার্ডেন: সন্ধ্যায় সমুদ্রের দৃশ্য দেখার আদর্শ স্থান।
- পার্টি হল ও কনফারেন্স রুম: কর্পোরেট ও পারিবারিক আয়োজনের জন্য আদর্শ।
কেন হোটেল লাবনী বেছে নিবেন?
- সমুদ্র সৈকতের সান্নিধ্যে বিলাসবহুল আবাসন।
- পর্যটকদের নিরাপত্তায় কড়া নজরদারি।
- পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে থাকার জন্য মনোরম পরিবেশ।
- বাজেটবান্ধব ও সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চমানের সেবা।
পর্যটকদের মতামত:
হোটেল লাবনীতে থাকার অভিজ্ঞতা অনেক পর্যটক অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে তুলে ধরেছেন। তারা বিশেষ করে উল্লেখ করেছেন:
- পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কক্ষ ও আরামদায়ক বিছানা।
- সমুদ্রের অনবদ্য দৃশ্য।
- বন্ধুসুলভ কর্মচারী ও দ্রুত সার্ভিস।
- সুস্বাদু খাবার ও উপভোগ্য পরিবেশ।
বুকিং সংক্রান্ত তথ্য:
- আগাম বুকিং করার জন্য হোটেলের ওয়েবসাইট বা নির্ধারিত বুকিং অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন।
- বুকিং বাতিল নীতি: আগাম বুকিং বাতিলের জন্য ২৪ ঘণ্টা আগে জানালে সম্পূর্ণ টাকা ফেরত।
- চেক-ইন: দুপুর ১২টা, চেক-আউট: সকাল ১১টা।
ভ্রমণ টিপস:
- লাবনী বিচে সন্ধ্যায় হেঁটে ঘুরে বেড়ানো অত্যন্ত রোমাঞ্চকর।
- সূর্যাস্তের সময় রুফটপ ক্যাফেতে থাকুন।
- জোয়ার-ভাটার সময় জেনে সমুদ্র স্নান করুন।
- ভ্রমণের সময় মূল্যবান সামগ্রী সাবধানে রাখুন।
কক্সবাজার ভ্রমণকে স্মরণীয় করে রাখতে হোটেল লাবনী একটি চমৎকার হোটেল। আরামদায়ক পরিবেশ, নান্দনিক কক্ষসজ্জা এবং মানসম্পন্ন সেবার কারণে এটি পর্যটকদের অন্যতম পছন্দ। কক্সবাজারে ভ্রমণ করতে এলে, হোটেল লাবনীতে থেকে উপভোগ করুন সমুদ্রের সান্নিধ্য এবং আরামদায়ক আতিথেয়তা।